বিনোদন

কারিশমার জীবনের ১০ ঘটনা


বলিউডে রয়েছে কাপুর পরিবারের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। হোক সে কাপুর তনয় বা তনয়া। নামের সাথে কাপুর থাকলেই দর্শকদের আলাদা আগ্রহ তৈরি হয় সেই অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে নিয়ে। কাপুর পরিবারের অন্যতম সদস্য কারিশমা কাপুর। ১৯৯০-এর দশকে বলিউডে একের পর এক হিট ছবি দিয়ে গেছেন কারিশমা। তবে ২০০২ সালে বিয়ের পর আস্তে আস্তে সরে যান রুপালি জগৎ থেকে। তবুও এখনো কারিশমার আবেদন কমে যায়নি দর্শকদের মনে। কারিশমার ভক্তদের জন্য মজার কিছু তথ্য :

০১.

বাবা অভিনেতা রনধীর কাপুর এবং মা অভিনেত্রী ববিতার বড় মেয়ে কারিশমা। হলিউড অভিনেত্রী গিনা লোল্লোব্রিগিডার নাম অবলম্বনে ছোটবেলায় মেয়ের নাম ‘লোলো’ রেখেছিলেন ববিতা। কারিশমার ছোট বোন কারিনা কাপুর এবং চাচাতো ভাই বলিউডের এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা রণবীর কাপুর।

০২.

১৯৯০-এর দশকের বলিউডের রানী ছিলেন কারিশমা কাপুর। মাত্র ১৬ বছর বয়সে মুক্তি পেয়েছিল কারিশমার প্রথম ছবি ‘প্রেম কয়েদি’। আর অভিনয়ের জন্য ক্লাস সিক্সে পড়ার সময়ই স্কুল ছেড়েছিলেন তিনি।

০৩.

বলিউডের অর্ধশতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন কারিশমা। এর প্রায় সবই সুপারহিট ব্যবসা করেছে। সুন্দরী লাস্যময়ী নায়িকা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেলেও বিভিন্ন ধরনের চরিত্রের প্রয়োজনে বারবার নিজের রুপ এবং সাজে পরিবর্তন এনেছেন তিনি। চরিত্রের জন্য নিজেকে আলাদা করে গড়ে তুলেছেন।karishma-kapoor-green-grey-faux-georgette-anarkali-suit

০৪.

১৯৯৭ সালে ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন কারিশমা। ১৯৯৬ সালে ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ এবং ২০০০ সালে ‘ফিজা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন কারিশমা। ‘জুবাইদা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সমালোচকদের ভোটে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

০৫.

ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি হিট ছবি কারিশমা দিয়েছেন অজয় দেবগন এবং গোবিন্দর সাথে। ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘হিরো নাম্বার ওয়ান’ ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পায় কারিশমা-গোবিন্দ জুটি। পরবর্তী সময়ে সালমান খানের সাথেও জুটি গড়ে জনপ্রিয়তা পান কারিশমা। অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং অজয় দেবগনের সাথে প্রেমের গুজবও ছড়িয়েছিল কারিশমার। তবে এগুলো কখনো স্বীকার করেননি কারিশমা।

০৬.

‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’ ছবির টিনা চরিত্রটি করার জন্য কারিশমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন পরিচালক করণ জোহর। কিন্তু সে সময়ে পার্শ্ব অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করবেন না বলে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কারিশমা। টিনা চরিত্রটি করণ তৈরি করেছিলেন তার স্কুলের বান্ধবী অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্নার কথা মাথায় রেখে। তাই টুইঙ্কেলের ডাক নাম টিনা নামেই চরিত্রটির নাম রাখা হয়েছিল। টুইঙ্কেল বা কারিশমা কেউ রাজি না হওয়ায় রানী মুখার্জির কাছে যান করণ জোহর। চরিত্রটি করতে রাজি হয়ে যান রানী এবং এই ছবির জন্য ফিল্মফেয়ারে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন রানী।

karishma-kapoor-navy-blue-suit-800x1100

০৭.

‘রাজা হিন্দুস্তানি’ ছবিটি কারিশমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ব্যবসাসফল ছবি। অথচ ছবিটিতে পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। কিন্তু সে সময়ে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব পেয়ে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। এর জন্য কিছু শর্ত মেনে চলতে হতো তাঁকে। সে কারণেই ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ ছবিতে অভিনয় করতে পারেননি তিনি। তার জায়গায় চলে আসেন কারিশমা কাপুর।

০৮.

‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবির জন্যও কারিশমা প্রথম পছন্দ ছিলেন না। নিশা চরিত্রটির জন্য প্রথমে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো রাভিনা টেন্ডনকে। রাভিনা রাজি না হওয়ায় জুহি চাওলা, কাজল, মনিষা কৈরালা এবং শিল্পা শেঠিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ওই চরিত্রটি করার জন্য। কিন্তু কেউই রাজি হননি। এরা সবাই ফিরিয়ে দেওয়ার পর কারিশমা চরিত্রটি করতে রাজি হন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

০৯.

জীবনে অনেক সুযোগ যেমন পেয়েছেন তেমনি অনেক সুযোগ ছেড়েও দিয়েছিলেন কারিশমা। অনেক ব্যবসাসফল ছবির জন্য প্রথমে তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে ছবিগুলো ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ‘ইশক’ ছবিতে জুহি চাওলার চরিত্রটি করার প্রস্তাব পেয়েও করেননি কারিশমা। ‘গুপ্ত’ ছবিতে মনিষা কৈরালার চরিত্রটিও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কারিশমা। ঐশ্বরিয়ার ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’, কারিনার ‘অশোকা : দ্য গ্রেট’ এবং ‘তালাশ’ ছবিগুলোও কারিশমা ফিরিয়ে দেওয়ার পর তাঁরা অভিনয় করেছিলেন।

 

‘হাঁ ম্যায়নে ভি পেয়ার কিয়া’ ছবির সহ-অভিনেতা অভিষেক বচ্চনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলেন কারিশমা। অভিষেকের বাবা অমিতাভ বচ্চনের ৬০তম জন্মবার্ষিকীতে ২০০২ সালে তাঁদের বাগদানও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চার মাস পরই সম্পর্ক ভেঙে যায় তাঁদের। কারিশমা-অভিষেকের সম্পর্ক ভাঙার কারণ নিয়ে নানারকম গুজব চাউর হয়েছিল সে সময়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল অভিষেকের ক্যারিয়ারের মুমূর্ষু অবস্থা এবং অভিষেকের ব্যাপারে কারিশমার মায়ের আপত্তি। ওই বছরই শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেন কারিশমা। তবে বনিবনা না হওয়ায় এখন তাঁরা আলাদা থাকছেন।