জেনে নিন

কীভাবে এড়াবেন জেট ল্যাগ?


 

যাঁরা ঘন ঘন বিমান ভ্রমণে অভ্যস্ত, তাঁদের কাছে জেট ল্যাগ অত্যন্ত পরিচিত এক ভোগান্তি। দীর্ঘ সময় ধরে ভ্রমণ করলে এক ধরনের অবসাদ তৈরি হয়। আর বেশি ভ্রমণে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে না পারলে অসুস্থ হয়ে পড়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। জেট ল্যাগের বিভিন্ন সমস্যা এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় জানিয়েছে রিডার্স ডাইজেস্ট।

জেট ল্যাগে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলো হচ্ছে মাথাব্যথা, বিরক্তি, বমিবমি ভাব এবং শারীরিক দুর্বলতা।

যদি সামনে আপনার দীর্ঘ অথবা ধারাবাহিক বিমান ভ্রমণ থাকে, তাহলে তার আগের কয়েক দিন নিয়ম করে একটু বেশি ঘুমিয়ে নিন, তাহলে কিছুটা ঝরঝরে থাকবেন। বিমানে ওঠার পর প্রতি ঘণ্টায় নিয়ম করে অন্তত দুই গ্লাস পানি খান। এতে বিমানের শুষ্ক বাতাসের কারণে আপনার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেওয়ার যে ঝুঁকি থাকে, তা কমে যাবে।

টানা বসে থাকবেন না। বিমানের মধ্যে একটু হাঁটাচলা করুন, এতে আপনার শরীরের পেশিগুলোতে রক্ত চলাচল সচল থাকবে। এ ছাড়া সিটে বসে থেকেও কিছুক্ষণ পরপর হাত ও পায়ের ব্যায়াম করতে পারেন, এর ফলে পেশিব্যথার ঝুঁকি কমে যাবে।

যদি দুপুরের আগেই গন্তব্যে পৌঁছে যান, তাহলে একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকেলের দিকে ঘুরতে বের হন। এতে ভ্রমণে ক্লান্তি দূর হবে এবং চাঙ্গা হয়ে যাবেন। সূর্যের আলো গায়ে লাগলে আপনার শরীরের ভেতরের কলকব্জা শক্তি ফিরে পাবে এবং স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে।

লম্বা সময়ের ভ্রমণ যদি হয়, তাহলে বিমানে ঘুমানোর সময় চোখে আইমাস্ক, সানগ্লাস এবং কানে এয়ারপ্লাগ লাগিয়ে নিন। ঘুমের সময় যেন ঘাড়ে ব্যথা না পান, সে জন্য ঘাড়ে রাখতে পারেন ছোট বালিশ। নিশ্চিন্তে ঘুমানোর ব্যবস্থা করে ঘুমিয়ে পড়ুন। লম্বা ভ্রমণে গাঢ় এবং টানা ঘুম খুব উপকার দেবে।

গন্তব্যে পৌঁছার পর নিজের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করুন। অধিক প্রোটিন এবং ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান। নোনতা, মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। সুগার লেভেল এবং শক্তি ধরে রাখতে প্রতি চার ঘণ্টা পরপর কিছু না কিছু খান।

-ntv online অবলম্বনে