খেলাধুলা

প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট


শুভ সকাল ডেস্কঃ টেস্ট ক্রিকেটের বয়স ১৩৮ বছর। শতবর্ষ পার হওয়া ক্রিকেটের এই সংস্করণ এবার গড়ল ইতিহাস। ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর পৃথিবী প্রথমবারের মতো দেখল দিবা-রাত্রির টেস্ট। সেই সঙ্গে চিরায়ত লাল বলের পরিবর্তে দেখল গোলাপি বল। মাঠে খেলতে নেমে যার সাক্ষী হলো অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। সাক্ষী হলেন দুই দলের ২২ জন ক্রিকেটার।

ইতিহাসের অংশ হতে কে না চায়। তাই প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট অনুষ্ঠিত হওয়া স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভালে প্রথম দিন উপস্থিত ছিলেন ৪৭,৪৪১ জন দর্শক। ইতিহাসের সাক্ষী হলেন তারাও।

ঐতিহাসিক এই টেস্ট তাই জন্ম দিয়েছে অনেক ‘প্রথম’র। যেমন, দিবা-রাত্রি এবং গোলাপি বলের টেস্টে প্রথম টস জিতেছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম‍্যাককলাম। যদিও সিরিজের প্রথম দুই টেস্টের টসে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। আর টসে জিতে প্রথম ব্যাট করারও সিদ্ধান্ত নেন এই কিউই অধিনায়ক।

গোলাপি বলে প্রথম বল করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন অজি বোলার মিচেল স্টার্ক। আর প্রথম স্টার্কের সেই বলের মুখোমুখি হলেন কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল। সেই সঙ্গে প্রথম রানেরও দেখা পান গাপটিলই।

দিবা-রাত্রির টেস্টে প্রথম উইকেট তুলে নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন জস হ্যাজেলউড। চতুর্থ ওভারে তিনি তুলে নেন গাপটিলের উইকেট।

গোলাপি বলে প্রথম চার মারেন কেন উইলিয়ামসন৷ স্টার্কের বলে ফ্লিক করে স্কয়ার লেগে চার হাঁকান তিনি৷ আর তাতে করে নাম লিখে ফেললেন ইতিহাসের পাতায়। আর হ্যাজেলউডের বলে প্রথম ছয় মারার কৃতিত্বটা টিম সাউদির।

ঐতিহাসিক এই টেস্টে প্রথম অর্ধশতকের রেকর্ড গড়লেন টম ল্যাথাম। ৯২ বল খেলে তিনি এই অর্ধশতরান পূরণ করেন।

দিবা-রাত্রির এই টেস্টে অভিষেকও ঘটেছে একজন কিউই ক্রিকেটারের। তিনি হলেন মিশেল স‍্যান্ট‍নার। ইতিহাস হয়ে রইলেন তিনিও।