খেলাধুলা

বিতর্কিত দুই আম্পায়ারকেই সমর্থন জানাল আইসিসি!


বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে বিতর্কিত ‘নো’ বল নিয়ে অবশেষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি। বিষয়টিতে মাঠের দুই আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গৌল্ডকেই সমর্থন জানিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড রিচার্ডসন আজ (শুক্রবার) এক  বিবৃতিতে বলেন,”নো বলের সিদ্ধান্তটি পঞ্চাশ-পঞ্চাশ ছিল। খেলাটির ‘স্পিরিট’ বলে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং এটাকে অবশ্যই সমীহ করতে হবে।”

আম্পায়ারা বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে নেমেছিল বলে যে অভিযোগ ওঠে, বিবৃতিতে সেটা উড়িয়ে দেন রিচার্ডসন। সেইসঙ্গে আম্পায়ারিং নিয়ে আইসিসির সভাপতি এবং বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আ হ ম মোস্তফা কামালের মন্তব্যকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে বলা হয়,  “আইসিসি মোস্তফা কামালের মন্তব্য লক্ষ্য করেছে, যেটা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে আইসিসির ম্যাচ কর্মকর্তাদের (আম্পায়ার) সমালোচনা করায় তার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। তাদের (আম্পায়ারদের) সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না।”
গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ভারতের কাছে ১০৯ রানে হারে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নামা ভারতের ইনিংসের ৪০তম ওভারে বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি দেন পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দার ও ইংল্যান্ডের আম্পায়ার ইয়ান গৌল্ড। ওভারের চতুর্থ বলটি ফুলটস দিয়েছিলেন রুবেল হোসেন। বলটিতে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ইমরুল কায়েসের কাছে ক্যাচ দেন ভারতের রোহিত শর্মা। তবে বলটি কোমরের ওপরে ছিল দাবি করে লেগ আম্পায়ার পাকিস্তানের দার বোলিং প্রান্তে থাকা ইংল্যান্ডের আম্পায়ার গৌল্ডকে ‘নো’ বলের সঙ্কেত দেন। গৌল্ড তখন ‘নো’ ডাকলে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
টিভি রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, বলটি কোমরের ওপরে ছিল না। তখন ধারাভাষ্য দিতে থাকা শেন ওয়ার্নও বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
আম্পায়ারদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে ক্রিকেট পণ্ডিতদের অনেকেই সমালোচনা করেন। শুধু তাই নয়, মাশরাফির বলে এলবিডব্লিউর রিভিউ, বিতর্কিত নো বল ডেকে রুবেলকে রোহিত শর্মার উইকেট থেকে বঞ্চিত করা, বাংলাদেশের পক্ষে টানা দুই ম্যাচে শতক করা মাহমুদউল্লাহর বিতর্কিত ক্যাচ—এভাবে পুরো ম্যাচেই বারবার হতাশ আর ক্ষুব্ধ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
অন্য অনেকের মতো মোস্তফা কামালও আম্পায়ারদের পক্ষপাতমূলক আচরণকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, যা দেখলাম আম্পায়াররা আমাদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিয়ে নেমেছিলেন, তাদের কোনো কোয়ালিটি নেই। পরবর্তী বোর্ড মিটিং-এ আমি এটা তুলব। প্রয়োজনে আমি আইসিসি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করব। এটা কোনোভাবে মেনে নেব না, ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররাও এর প্রতিবাদ করেছে। সারা বিশ্বের সাবেক ক্রিকেটার বিশ্ব মিডিয়া এর প্রতিবাদ করছে।

– রেডিও তেহরান অবলম্বনে