বিনোদন

হতাশা নিয়ে দীপিকার যুদ্ধ


সাধারণ মানুষ হাতাশায় ভোগে, পৃথিবীর নামিদামি তারকারা বোধহয় একটু বেশিই হতাশাগ্রস্থ হয়। কারণ তাঁরা সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি আবেগপ্রবণ হন। তেমনি বলিউডের এ সময়ের নাম্বার ওয়ান অভিনেত্রী দীপিকা পাড়–কোনও হতাশার সময় পার করেছেন। তবে সেই নিঃশব্দ হতাশার সঙ্গে কীভাবে তিনি লড়াই করেছেন, তা জানালেন এবার। গত ২১ মার্চ এনডিটি টিভির এক অনুষ্ঠানে দীপিকা তাঁর মা উজালা পাড়–কোন, কাউন্সিলর আন্না, ডাক্তার শায়াম ভাটসহ উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই দীপিকা জানান, ‘আমার লোভ, আমার চাওয়াগুলো অন্য মেয়ে থেকে একটু ভিন্ন বলে মনে করি। এখানে হতাশাটা আমার বাড়ে। কারণ কোনো কিছুর সঙ্গে আমার মনসতাত্ত্বি¡ক চাওয়াগুলো মিলে না। এজন্য একটা হতাশা তৈরি হয়। এ জন্য হতাশার সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয় আমাকে।’dipika path

তখন দীপিকার মা বলেন, ‘দীপিকা এমনিতে অন্য মেয়ে থেকে আলাদা, শান্ত স্বভাবের। অনেক মানুষ তাঁর সম্পর্কে জানতে চায় আমার কাছে। তবে আমি বিশ্বাস করি না দীপিকা বড় কোনো মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে। তবে ও মাঝে মাঝে অনেক কিছু নিয়ে হতাশায় ভোগে এবং নিজে নিজে তাঁর মোকাবিলা করে। এবং আমি এক সময় তাঁকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলি।’

দীপিকা আরও জানান, হতাশায় ভুগলেও আমি মনে করি আমি তো একা না। তারপরও কেন আমার সঙ্গে এমন হচ্ছে। সেটাকে আমি রোগ বলেই ধরে নেই এবং এটা সমাধানের চেষ্টা করি। শেষমেশ আমার সেটা কাজে লেগেছে।

দীপিকাকে এনডিটিভির বারকা দত্ত প্রশ্ন করেন, ভারতে ১ লাখ মানুষ এবং সারা বিশ্বে ৩৬ ভাগ মানুষ এই হতাশার জন্য নিজেকে শেষ করছে। আত্মহত্যার হার বাড়ছে। ছোটপর্দায় কেন এই বিষয় নিয়ে তুমি কথা বলতে চেয়েছ- জানতে চাই?

দীপিকা এর উত্তরে বলেন, ‘এর কারণ তুমি দুই মিনিট আগে বলেছ। কোন এটা এত গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় প্রতি তিনজনে দুইজন, অনেক সময় প্রতি দুইজনের মধ্যে একজন কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে হতাশাগ্রস্ত। আমি আমার কাছের এক বন্ধুকে কয়েক মাস আগে হারিয়েছি। আমি এর ব্যথা বা জ্বালাটা অনুভব করি। অনেক সময় অনেকে বলে, তোমার ডাক্তারের নিকট যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু আমি মনে করি এটা ভুল। কারণ আমার মা আমাকে প্রথমে কিছুদিন আগে এমন দেখে নানা সুপরামর্শ দিয়েছেন। ডাক্তার দেখিয়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন।’

ডাক্তার শায়াম ভাট বলেন, আমার মনে হয় ধারণা খুবই পরিষ্কার। ছোট করে বলতে হলে, যদি তোমার মনে বা চিন্তায় কোনো কিছু স্বাভাবিক না থাকে তাহলে ভেবে নিতে হবে তুমি ঠিক নেই। তখন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। তাই আমাদের মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করার মতো সাহস ও ধৈর্য্য অনেক সময় রাখতে হবে। কারণ আমি মনে করি, মানুষের মনোবল অনেক জোরালো।

এদিকে প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসছেন বলিউডের এই হার্ডথ্রব তারকা। ইউনিলিভার বাংলাদেশের আয়োজনে আগামী এপ্রিলে লাক্সের ক্যাম্পেইনে অংশ নেবেন দীপিকা। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন লাক্স ক্রয় করা ১০০০ জন ভাগ্যবান ভক্তরা।