খেলাধুলা

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে আম্পায়ার যারা


১৯ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া আম্পায়ারদের নাম ঘোষণা করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে মাঠে থাকবেন ইয়ান গোল্ড এবং আলীম দর। থার্ড ও ফোর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব সামলাবেন যথাক্রমে স্টিভ ডেভিস ও পল রেফেল। আর রোশান মাহানামা থাকবেন ম্যাচ রেফারি হিসেবে।
এই পাঁচ আম্পায়ারের মধ্যে রোশান বাদে বাকি চারজনই আইসিসির সেরা আম্পায়ারদের বর্তমান তালিকার সদস্য।
এদের মধ্যে ইংল্যান্ড দলের সাবেক ক্রিকেটার ইয়ান গোল্ড আম্পায়ারি ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৬ সালে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপসহ মোট ১০১টি ওয়ানডে ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে ইয়ান গোল্ডের খানিক আবেগি সংযোগও রয়েছে! ২০০৬ সালে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারি শুরু করলেও টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনার যোগ্যতা তিনি অর্জন করেন ২০০৮ সালে। বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ম্যাচ পরিচালনার মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে আম্পায়ারি শুরু হয় ইয়ান গোল্ডের।
মাঠের অন্য আম্পায়ার আলীম দারও নিজ অঙ্গণে বিশ্বজুড়ে খ্যাতিমান। ২০০০ সাল থেকে শুরু হওয়া আম্পায়ারি ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৫১টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটার। চলতি বিশ্বকাপে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচে ইংলিশ ব্যাটসম্যান জেমস টেলরের আউটসংক্রান্ত একটি ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে কিছুটা অস্বস্তি আছেন তিনি! ২০০৫ ও ২০০৬ সালে আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারও নির্বাচিত হন তিনি।
থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকান স্টিভ ডেভিসও ম্যাচ পরিচালনার কাজে বিশ্বসেরাদের একজন। ১৯৯২ সাল থেকে আম্পায়ারি ক্যারিয়ার শুরু করা স্টিভ এখন পর্যন্ত ১১১টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
ফোর্থ আম্পায়ার পল রেফেল অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন তিনি। খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর ২০০৯ সাল থেকে আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৩০টি ওয়ানডে ম্যাচে আম্পায়ারি করেছেন তিনি।
ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পাওয়া রোশন মাহানামা শ্রীলংকার সাবেক ক্রিকেটার। সাবেক এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান শ্রীলংকা দলের অধিনায়কও ছিলেন এককালে। পরে দল থেকে অবসর নিয়ে ম্যাচ রেফারি হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০০৪ সালে কিংস্টনে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ম্যাচ রেফারি হিসেবে অভিষিক্ত হন তিনি। এর মধ্যে প্রায় ২০০ ক্রিকেট ম্যাচে এই দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ছাড়াও কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বের বাকি তিন ম্যাচের আম্পায়ার ও রেফারিদের নামও ঘোষণা করেছে আইসিসি।
১৮ মার্চ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শ্রীলংকা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে আম্পায়ারি করবেন রড টাকার ও নাইজেল লোং। রিচার্ড কেটলবোরো থার্ড ও ব্রুস অক্সেনফোর্ড থাকবেন ফোর্থ আম্পায়ার হিসেবে। এই ম্যাচের রেফারি হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন ডেভিড বুন।
২০ মার্চ এডিলেডে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচে মেরেস এরাসমুস ও কুমার ধর্মসেনা আম্পায়ার হিসেবে মাঠে থাকবেন। এছাড়া রিচার্ড লিংওর্থ থার্ড আম্পায়ার, বিলি বোডেন ফোর্থ আম্পায়ার ও রঞ্জন মডুগালে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন।
২১ মার্চ কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রিচার্ড কেটলবোরো ও ব্রুস অক্সেনফোর্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন ওয়েলিংটন স্টেডিয়ামে। রড টাকার, নাইজেল লোং ও ক্রিস বোর্ড থাকবেন যথাক্রমে থার্ড, ফোর্থ আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে। সূত্র: আইসিসি, ক্রিকইনফো
– সমকাল অবলম্বনে