কী অদ্ভুত!

আজব, বরফের হোটেল!


বরফের হোটেল! শুনতেই কেমন অদ্ভুত লাগছে, তাই না? বরফের হোটেলের সঙ্গে পরিচয় না থাকলেও ‘ফ্রোজেন’ মুভিটা যারা দেখেছন, তাদের খুব ভালো করেই পরিচয় রয়েছে বরফের রাজপ্রাসাদের সঙ্গে।

এলসা তার রাজ্য ছেড়ে এসে পাহাড়চূড়ায় তৈরি করে তার মনের মতো বরফের রাজপ্রাসাদ। অপূর্ব সেই প্রাসাদ দেখে অনেকেরই মনে হয়েছে, অমন একটি রাজপ্রাসাদ যদি থাকত আমার!

অত সুন্দর একটি রাজপ্রাসাদ আপনার না থাকুক, মনোমুগ্ধকর একটি বরফের হোটেল থেকে কিন্তু আপনি ঘুরে আসতেই পারন। সেটিও এলসার রাজপ্রাসাদের চেয়ে কম কিছু নয়।

বরফের হোটেল একটি নয়, দু’টো নয়- বেশ কয়েকটি রয়েছে বিশ্বজুড়ে। কানাডা, ফিনল্যান্ড, জাপান, নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশে তৈরি করা হয় বরফ ও তুষারের হোটেল। নির্মাণশৈলী, সৌন্দর্য- সবদিক দিয়েই এ হোটেলগুলো বিস্ময়কর।

বরফের হোটেলগুলো মূলত ক্ষণস্থায়ী। শীতের সময়টিতে এ হোটেলগুলো নির্মাণ করা হয়। প্রতিবছরই নতুন করে তৈরি করতে হয় এসব হোটেল।

বরফের হোটেলের সবকিছুই বরফ ও তুষারে তৈরি। বিছানা, টেবিল, চেয়ার, এমনকী বাথরুমও শুভ্র তুষারের অপূর্ব সৃষ্টি। এছাড়াও হোটেলের দেয়াল ও ছাদে থাকে চমৎকার বরফের নকশা। এসবকিছুর সঙ্গে শুভ্র বরফের গায়ে থাকে নানা রঙের আলোর ঝলকানি। সব মিলে হোটেলগুলো হয়ে ওঠে স্বপ্নপুরীর মতো।

বিশ্বের নানা প্রান্তে বরফের অনেকগুলো হোটেল থাকলেও সবচেয়ে জনপ্রিয় হোটেলগুলোর মধ্যে রয়েছে কানাডার হোটেল ডি গ্লেস, সুইডেনের হোটেল জাক্কাসজারভি।

এরমধ্যে কানাডার কিউবেকে অবস্থিত হোটেল ডি গ্লেস’র আদলেই কিন্তু তৈরি করা হয়েছে ‘ফ্রোজেন’ মুভির এলসার প্রাসাদ। আইস হোটেল বা বরফের হোটেল বলতেই সবার আগে মনে আসে এই হোটেলটির নাম।

২০০১ সালে প্রথম নির্মাণ করা হয় ৮৫ রুমের এ হোটেল। এখানে একটি বারও রয়েছে। প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত হোটেলটি খোলা থাকে। নির্মাণশৈলী ও নকশার কারণে সব আইস হোটেলের মধ্যে প্রথম সারিতে রাখা হয় হোটেল ডি গ্লেসকে।

সুইডেনের জুক্কাসজারভি গ্রামের আইস হোটেলটি খোলা থাকে প্রতিবছর ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। এটিই বিশ্বের প্রথম আইস হোটেল। সেজন্য এর কদর অন্যদের চেয়ে আলাদা। এখানে ৮০টি রুম ও স্যুট রয়েছে।

এখানে একটি চমৎকার নকশা করা এন্ট্রেস হল ও একটি বার রয়েছে। বারের জানালার কাঁচও তৈরি করা হয় বরফ দিয়ে। অপূর্ব শৈল্পিক নকশার জন্য এ হোটেলটির খ্যাতি বিশ্বজুড়ে।

-banglanews24.com অবলম্বনে