জেনে নিন

বিশ্বের রহস্যময়ী কিছু পরিত্যক্ত স্থান


বিশ্বের কিছু পরিত্যক্ত নির্জন স্থান , এর প্রতিটিই একসময় ছিলো জনবহুল আর কর্মমুখর জায়গা। মনুমেন্টগুলোতে জমা ধুলো, মরিচা ও ফাটলের গায়ে লেগে রয়েছে আদি-মানুষের জীবনযাত্রার গন্ধ। একসময় যারা সেখানে বসবাস করতো, কাজ করতো ও ব্যবহার করতো। ঘুরে আসা য‍াক সেসব স্থান থেকে-


নিউ বেডোর্ড অরফিউম, যুক্তরাষ্ট্র
মাসাচ্যুসেটসের পুরনো ভবনটি একসময় ছিলো থিয়েটার। ১৯১২ সালে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় ও ১৯৫৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। সে বছর থেকেই ভবনটি সুপারমার্কেট ও তামাক সংরক্ষণাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে অরফিউম ইনকর্পোরেটেড অলাভজক প্রতিষ্ঠান এ ভবনটিকে নতুন করে তৈরির জন্য অর্থ যোগানের চেষ্টা করছে।


শিচেং ডুবো শহর, চীন
অদ্ভুত সুন্দর ডুবো শহরটির বয়স এক হাজার তিনশো ৪১ বছর। শিচেং বা লায়ন সিটি নামে পরিচিত এ শহরটি পূর্ব চীনের ঝেঝিয়াং প্রদেশে অবস্থিত। ১৯৫৯ সালে শিনান নদী জলবিদ্যুৎ স্টেশন নির্মাণের সময় শিচেং ডুবে যায়। কিন্তু পানি শহরটিকে বাতাস ও বৃষ্টিজনিত ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছে বলে শহরটি এখনও তুলনামূলক ভালো অবস্থায় রয়েছে।


সাল্টো হেটেল, কলোম্বিয়া
ডি সাল্টো হোটেল ১৯২৮ সালে কলোম্বিয়ার তেকুয়েনদিমা জলপ্রপাতের কাছে খোলা হয়। একশো ৫৭ মিটার উঁচুতে জলপ্রপাত দেখতে আসা পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত ছিলো এ হোটেলটি। নব্বইয়ের দশকে জলপ্রপাতটির জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া শুরু করলে হোটেলটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ২০১২ সালে স্থানটি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়।


হাশিমা দ্বীপ, জাপান
হাশিমা দ্বীপ ব্যাটেলশিপ দ্বীপ ও ভূতের দ্বীপ নামেও পরিচিত। ১৮ শতকের শেষ থেকে ১৯ শতকের শেষ পর্যন্ত সমুদ্রতলের কয়লা খনির জন্য জনবহুল ছিলো ভাসমান এলাকাটি। পরে জাপান ধীরে ধীরে কয়লা থেকে পেট্রোলিয়াম আরোহণের দিকে ঘুরে যাওয়ায় কয়লা খনি বন্ধ হয়ে যায় ও দ্বীপটি শূন্য ভূতুড়ে অবস্থায় পড়ে থাকে।


সানঝি, তাইওয়ান
সানঝির এলিয়েন সদৃশ বাড়িগুলো অবকাশ গন্তব্য হিসেবে পরিচিত ছিলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারির‍া ছুটিতে এশিয়া এলে এখানে থাকতেন। বিনিয়োগের অভাব ও দুঃখজনক সড়ক দুর্ঘটনা ও অন্যান্য কারণে ১৯৮০ সালের দিকে এ অবকাশ ভবন বন্ধ হয়ে যায়। ২০১০ সালে দুর্ভাগ্যবশত ভবনগুলো ভেঙে পড়ে।


পরিত্যক্ত মিলিটারি হাসপাতাল, বেলিজ, জার্মানি
জার্মানির বেলিজ-হেইলস্টেটেন হসপিটাল কমপ্লেক্সের ছবি এটি। বিশাল এ কমপ্লেক্সটি আঠারো শতকের শেষের দিকে নির্মাণ করা হয়। ১৯১৬ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আহত হয়ে এডলফ হিটলার এ হাসপাতালে সেবা নিয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে রাশিয়ানরা চলে যাওয়ার পর হাসপাতালটি আরও বেশি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

-banglanews24.com অবলম্বনে