কামানের গোলার শব্দে শুরু হয় সেহরি-ইফতার


ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রাজধানী ভোপালের কাছে রাইসেনে রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারের সূচনা হয় কামানের গোলার শব্দে। ২০০ বছরের বেশী সময় ধরে সেখানে এ ঐতিহ্য চালু রয়েছে। খবর রেডিও তেহরান।

রমজানের চাঁদ দেখার পরেই স্থানীয় দুর্গ থেকে বেশ কয়েকটি তোপের শব্দে রমজানকে স্বাগত জানানো হয়। এরপর থেকে এক মাস ধরে সেহরি এবং ইফতারের সময় তোপ দাগা হয়। দেশের মধ্যে একমাত্র রাইসেন শহরের রোজাদাররা কামানের তোপের শব্দ শুনে সেহরি এবং ইফতার শুরু করেন।

রাইসেন-এর প্রাচীন এক দুর্গ থেকে এই তোপ দাগার জন্য মুসলিম উৎসব কমিটিকে রীতিমত অস্থায়ীভাবে লাইসেন্স দেয়া হয় জেলা প্রশাসকের দফতর থেকে।

এক মাস ধরে সেহরি এবং ইফতারে তোপ দাগার জন্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। এর মধ্যে পৌরসভার পক্ষ থেকে ৭ হাজার টাকা, শহর কাজির পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা এবং বাকি টাকা অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করা হয়।

শহরের কাজী জহিরুদ্দিন জানান, ১৮ শতকে স্থানীয় বেগমের পক্ষ থেকে শুরু হওয়া এই অনন্য ঐতিহ্য চালু রয়েছে। কয়েক শতাব্দী প্রাচীন এই ঐতিহ্য চালু থাকা এই শহরের জন্য গর্বের বিষয় বলে তিনি জানান।

মুসলিম উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে কামান দাগার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কিশয়র ওরফে পাপ্পুর কাছে। তাদের পরিবার বহুকাল ধরে এই দায়িত্ব পালন করে আসছে। পাপ্পু জানান, একবার কামান দাগতে প্রায় ৫০০ গ্রাম বারুদের প্রয়োজন হয়। স্থানীয় মসজিদ থেকে নির্দিষ্ট সময়ে আলোর সঙ্কেত পাওয়ার পরেই কামান থেকে তোপ দাগা হয়। আশেপাশের ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রায় ৩০টি গ্রামে এর শব্দ পৌঁছায় বলে তিনি জানান।

রমজানের শুরুতে এবং শেষে ঈদের সূচনায় অবশ্য বেশ কয়েকবার তোপ দাগা হয়। বৃহস্পতিবার তোপ দাগা শুরু হয়েছে এবং তা অনেক রাত পর্যন্ত চলে। ওই দিন রাতে তারাবি এবং সেহরি পর আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাহে রমজান।

বিডি২৪লাইভ.কম অবলম্বনে