দক্ষিণ মেরু পৃথিবীর ভেতরেই যেন অবাক করা আরেক পৃথিবী। আর দক্ষিণ মেরুর প্রাণ হচ্ছে এন্টার্কটিকা মহাদেশ। এন্টার্কটিকা পৃথিবীর উচ্চতম মহাদেশ। আজ আমরা এন্টার্কটিকার মজার মজার কিছু তথ্য জানবো—
প্রাকৃতিক মমি : এন্টার্কটিকা অভিযানে যাওয়া অভিযাত্রী দল ফিরে আসার আগে উদ্বৃত্ত শুকনো খাবার মহাদেশেই রেখে আসেন। গোটা মহাদেশটাই ‘ন্যাচারাল ফ্রিজ’ হওয়ার কারণে অনেক বছর পরও এসব খাবার নষ্ট হয় না। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য যে কোনো মৃত প্রাণীও অনায়াসেই প্রাকৃতিক মমিতে পরিবর্তিত হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, সেখানে মৃত প্রাণীদের দেহ প্রায় তিন হাজার বছর পর্যন্ত অবিকৃত থাকতে পারে।
হোয়াইট আউট : যতদূর চোখ যায়, বরফ আর বরফ—কী আজব এক ব্যাপার। কোথাও বিন্দুমাত্র ছায়া এমনকি কোনো খানাখন্দের আভাসও মিলবে না। সব মিলিয়ে যেন সাদা এক স্লেট। এমন বাস্তবতায় যে কেউ দিক হারাতে পারেন। দিক ভুল করে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে উড়ে যাওয়া পাখির ঝাঁক বা বিমানও। কোনো মেঘলা দিনে এন্টার্কটিকায় এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি অসম্ভব কিছু নয়। এরই নাম হোয়াইট আউট।
নাসার আবিষ্কার : ১৯৮৪ সালে নাসার আবিষ্কৃত শিলাখণ্ডটি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছিল। ‘অ্যালান হিলস ৮৪০০১’ শিলাখণ্ডটি মঙ্গলগ্রহের এক বিস্ফোরণে পৃথিবীতে ছিটকে পড়ে। প্রায় ১৩ হাজার বছর আগে এটা ছিটকে এসে এন্টার্কটিকায় পড়ে। এর মধ্যে ছিল এক প্রকার হাইড্রোকার্বন। যাতে রয়েছে এক কোটি জীবের অস্তিত্ব। তবে কি মঙ্গল গ্রহে জীবন আছে?
অরোরা অস্টালিস : অরোরা অস্টালিসের ছবি তোলার শখ পৃথিবীর বহু ফটোগ্রাফারের লালিত স্বপ্ন। অরোরা হলো এন্টার্কটিকার আকাশজুড়ে একটা অসাধারণ আলোর খেলা, যা মুহূর্তে মুহূর্তে লাল থেকে বেগুনি বা সবুজ হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা একে সৌরশক্তি, বাতাসের চৌম্বকশক্তি, সাবঅ্যাটমিক পার্টকলস ইত্যাদি বলে। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় এই প্রাকৃতিক লেসার শো-কে বর্ণনা করা হলেও দর্শকের কাছে এই আলোর খেলা যেন অপার্থিব। যেহেতু আলোর ছটা হয় সাধারণত হালকা, আর অত্যন্ত দ্রুত তা সরে যায়, তাই এর ছবি তোলা সহজ কোনো কাজ নয়। এন্টার্কটিকার আয়তন ৫১ লাখ বর্গমাইল। এখানে আছে তিমি, সিল, পেঙ্গুইন, মস ও লাইকেনের মতো গাছ। উত্তরে আছে স্থায়ী অধিবাসী এস্কিমো আর দক্ষিণে শুধু অভিযাত্রীর দল।
সে জল চিকচিক করছে।
You must be logged in to post a comment.