খেলাধুলা

বিশ্বকাপ জিতে মুক্তিযুদ্ধের সাধ মেটাতে চাই: আবু হায়দার রনি


বিপিএলের তৃতীয় আসরে ২১ উইকেট নিয়ে রীতিমত সাড়া ফেলেছিলেন আবু হায়দার রনি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর। এরই ফল পেয়েছেন প্রাথমিক দলে ডাক পেয়ে। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শুভ সকালে’র সঙ্গে কথা বলেছেন বাঁহাতি এ পেসার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইফতেখার শুভ

শুভ সকাল : জাতীয় দলে ডাক পেয়ে অনুভূতি কেমন?
রনি : প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলা, দেশের হয়ে খেলা। প্রাথমিক দলে ডাক পেয়ে সে স্বপ্নের প্রথম ধাপ পার করেছি। স্বাভাবিক কারনেই অনুভূতি খুবই আনন্দের।

শুভ সকাল : ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনে কার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি?
রনি : আমার বেড়ে ওঠা নরসিংদীতে। ওখানেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি। অবশ্যই মা-বাবার অনুপ্রেরণা সবচেয়ে বেশি। আর একজন কোচের কথা না বললেই নয়। তিনি সজল তালুকদার। তাঁকে আমি দাদা বলে ডাকি। তাঁরাসহ আরও অনেকেই আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

শুভ সকাল : এবারের বিপিএলে এত ভালো পারফরমেন্সের পেছনের কারণ কি?
রনি : সব সময়ই চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করতে। কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি মনে করি এরই ফল পেয়েছি। আর বিসিবির হাইপারফরমেন্স ট্রেনিং অনেক কাজে দিয়েছে।

শুভ সকাল : মাশরাফির অধিনায়কত্বে খেলতে কেমন লেগেছে?
রনি : আসলে মাশরাফি ভাইয়ের তুলনা তিনি নিজেই। বিপিএলে অন্য কোনো দলে খেললে হয়তো ভালো করতাম কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফির সাহায্য থেকে বঞ্চিত হতাম। তিনি অসাধারণ এক মানুষ।

শুভ সকাল : বাংলাদেশ দলে স্পিনারদের ছাপিয়ে পেসাররাও ভালো করতে শুরু করেছে। পেসার হিসেবে আপনার লক্ষ্য কি থাকবে?
রনি : হ্যাঁ, অনেক ভালো করছে। প্রত্যেকটি দলেই সবকিছুর কম্বিনেশন থাকা উচিত। সেটাই হচ্ছে। পেসার হিসেবে লক্ষ্য থাকবে দলের বোলিংকে আরও শক্তিশালী করা।

শুভ সকাল : বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হতে পারবেন বলে মনে করেন?
রনি : (হাসি) অবশ্যই চাইব। প্রত্যেকটি দলেরই লক্ষ্য থাকে বিশ্বকাপের শিরোপা জেতা। দেশের জন্য এ সম্মানটুকু অর্জনে যথাসাধ্য চেষ্টা করব। মুক্তিযুদ্ধ করতে পারিনি; কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে সে সাধ পূরণ করতে চাই।

শুভ সকাল : নতুন বছরে জাতীয় দল কেমন করবে বলে মনে করেন?
রনি : বাংলাদেশ দল ক্রমেই উন্নতি করছে। সদ্যবিদায়ী বছরে বাংলাদেশ অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এ বছর আরও ভালো করবে বলে আশা করি।