রোগী থাইরয়েড ক্যান্সার আক্রান্ত কিনা তা একটি কুকুর তার ঘ্রাণ শক্তি ব্যবহার করে বলে দিতে পারবে। যুক্তরষ্ট্রের একদল গবেষক এমনটিই দাবি করেছেন।
৩৪ জনের ওপর এ পরীক্ষা চালিয়ে সাফল্যের হার প্রায় ৮৮ শতাংশ। কুকুরের ঘ্রাণ নেয়ার ক্ষমতা ‘অবিশ্বাস্য’ বলে মন্তব্য করেছেন গবেষকরা।
থাইরয়েড গলার একটি গ্রন্থি। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন মানব শরীরের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ করে। সাধারণত রক্তে হরমোনের উপস্থিতি পরীক্ষা করে থাইরয়েড ক্যান্সার নিরূপণ করা হয়।
আরকানস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সায়েন্স বিভাগের একদল গবেষক এর আগে দেখিয়েছিলেন, কুকুরকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব যাতে প্রাণীটি থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং সুস্থ ব্যক্তির মূত্রের নমুনার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে।
ফ্রাঙ্কি নামে একটি জার্মান শেপার্ড কুকুরকে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মূত্র নমুনায় থাইরয়েড ক্যান্সারের আলামত পেলে কুকুরটি বসে পড়ে এবং না পেলে ঘুরে চলে যায়।
এমন ৩৪ জন এ গবেষণায় অংশ নেন যারা থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করতে হাসপাতালে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন।
ফ্রাঙ্কি ৩৪ জনের মধ্যে ৩০ জনের ক্ষেত্রে নির্ভুল জবাব দিয়েছে। গবেষকদের একজন ডা. ডোনাল্ড বডেনার বলেন, “কুকুরের ঘ্রাণ শক্তি এক কথায় অবিশ্বাস্য।”
“তাদের কারণে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব কিছু ঘটা সম্ভব।”
-বিডি নিউজ অবলম্বনে
Share this:
- Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
- Click to share on X (Opens in new window) X
- Click to share on LinkedIn (Opens in new window) LinkedIn
- Click to share on Pinterest (Opens in new window) Pinterest
- Click to email a link to a friend (Opens in new window) Email
- Click to print (Opens in new window) Print