বিনোদন

চলচ্চিত্রে বেকার পরিচালকের তালিকা বাড়ছে!


চলচ্চিত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির হাওয়া লেগেছে। প্রতিদিনই চলচ্চিত্রের মহরত হচ্ছে। আগের তুলনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ বেড়েছে। কিন্তু চলচ্চিত্র পরিচালকের বেকার সংখ্যা বাড়ছে। তাহলে এখনকার চলচ্চিত্র কারা নির্মাণ করছে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চলচ্চিত্রপাড়ায়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্রপরিচালক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ পরিচালক আছেন প্রায় ৩৫০ জন, এবং সহযোগী পরিচালক আছেন প্রায় শতাধিক। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বর্তমানে ৮ থেকে ১০ জন গুণী নির্মাতা ছবি নির্মাণ করছেন। আর বেশিরভাগ পরিচালকরা সমিতিতে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। দিন দিন বেকার হয়ে পড়ছেন পরিচালকরা। দীর্ঘ হচ্ছে এর তালিকা। প্রায় পাঁচ বছর পর দেলোয়ার জাহান ঝন্টু শুরু করেছেন নতুন ছবির কাজ। অন্যদিকে ৬ বছর পর এসএ হক অলিক শুরু করেছেন একসঙ্গে দুটি ছবির কাজ। মুশফিকুর রহমান গুলজার একটি ছবির কাজ শেষ করেছেন। গুণী নির্মাতা এফআই মানিক তিন বছর ধরে ‘দুই পৃথিবী’ ছবির কাজ করছেন। সোহানুর রহমান সোহান দু’বছর পর নতুন ছবির কাজ শুরু করলেন। ২০১৪ সালে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ ছবিটি ব্যবসায়িক সাফল্যে সাফিউদ্দীন সাফির ভাগ্যে বদলে যায়। একসঙ্গে তিনি পাঁচটি ছবির কাজ শুরু করেন। শাকিব খানের একাধিক সুপারহিট ছবির পরিচালক বদিউল আলম খোকন বেকার সময় পার করছেন প্রায় এক বছর। প্রতিষ্ঠিত এবং জনপ্রিয় পরিচালকরা দিন দিন বেকার হয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরে এ পর্যন্ত যতগুলো ছবি মুক্তি পেয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই ছিল নতুন পরিচালকের ছবি। কয়েকটি ছবি ব্যবসাসফল হলেও বেশিরভাগ ছবির ভাগ্যে জুটেছে ফ্লপের তকমা।

এ প্রসঙ্গে পরিচালক এসএ হক অলিক বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ সিনেমা বানানোর মতো প্রযোজক পাইনি বলে ছবির কাজ শুরু করতে পারিনি। সিনেমায় ব্যবসায়িক মনোভাবের প্রযোজকের বড়ই অভাব। তাই গুণী পরিচালকরা দিন দিন বেকার হয়ে যাচ্ছে। একটা সময় ভালো পরিচালকের অভাবে ভালো ছবি নির্মাণ কমে যাবে।’

একটা সময় পরিচালকের নামের ওপর চলচ্চিত্র দেখতে সিনেমা হলে দর্শক হুমড়ি খেত। এখন সেটা বিরল। একজন পরিচালক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দিতে পারেন। প্রতিষ্ঠিত প্রযোজনা সংস্থাগুলো যদি নিয়মিত সিনেমা তৈরি করেন, তাহলে বেকার পরিচালকের সংখ্যা কমবে। নতুবা চলচ্চিত্র থেকে গুণী পরিচালকরা অভিমান নিয়ে নিজেদের সরিয়ে ফেলবেন-এমনটাই মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।