ক্যাম্পাসবিনোদন

সাবিলা নূরের ক্যাম্পাস লাইফ


masidrono2মডেল সাবিলা নূর পড়ছেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারে। তাঁর ক্যাম্পাসজীবনের গল্প শুনেছেন মাসিদ রণ। ছবি তুলেছেন শামছুল হক রিপন

প্রথম না দ্বিতীয় দিন

মাংকি বিজনেস নাটকের শুটিংয়ের সময় নর্থ সাউথের ভর্তি চলছিল। ফলে সময়মতো যেতে পারিনি। এতে পছন্দের বিষয়টি মিস হয়ে গেল। পরে বিবিএতে ভর্তি হলাম। মন খারাপ লেগেছিল ঠিকই।

ফলে প্রথম দিন আর ক্যাম্পাসে যাইনি। পরের দিন গেলাম। গিয়েই তো লেখাপড়ার চক্করে পড়ে গেলাম। সবাই বিজনেস কোর্স ক্লাস করবে বলে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমিও ক্লাসে ঢুকে গেলাম। সঙ্গে সঙ্গে অনেকে চিনে ফেলল। কয়েকজন হাই-হ্যালোও করল।

ভুল করিনিsabila noor

ভালো লাগল ইংরেজি সাহিত্য। সেটা তো আর হলো না। তবে বিবিএ পড়তে গিয়ে বুঝলাম, খুব একটা ভুল করিনি। হয়তো ইংরেজিতে পড়তে পারলে মনটাকে বলতে পারতাম, যেটা চেয়েছি, পড়ছি। সাহিত্য পড়া থাকলে সাহিত্যনির্ভর নাটকে ভালো অভিনয় করতে পারতাম; কিন্তু বিবিএ আমার মার্কেটিং, ব্যবসা বা ক্রিয়েটিভ কাজের দরজা খুলে দিয়েছে।

ম্যানেজ করি

সত্যি বলছি, ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্টের হ্যাপা সামলাতে গিয়ে জান বেরিয়ে যায়। বলতে গেলে অর্ধেক ক্লাসই শুটিংয়ের জন্য করতে পারি না। শেষের দিকের ক্লাসগুলোতেই এ সমস্যা হয়। সকালে ঠিকই হাজির থাকি, দুপুরের পর থেকে সমস্যা শুরু হয়। সে জন্য প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়, যাতে সকালের ক্লাস মিস না হয়। তবে শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা মেনে না নিলে তো ছাত্রত্ব নিয়েই ঝামেলা হতো। বন্ধুদের মধ্যে ওয়াসিফ ও আরিজার নামটি আলাদা করে বলব। কারণ ওরা না থাকলে ক্লাস লেকচারই তো পেতাম না।

Sabila Nur3

সামনে পরীক্ষা

শুনলেই ভয় লাগে। শুটিংয়ের জন্য না কোনো পরীক্ষা মিস দিতে হয়। তাই তখন শিডিউল মেলাই। তবে বলে রাখি, আমি কিন্তু ছোটবেলা থেকে ভালো ছাত্রী। আগে আরো ভালো করার লড়াইয়ে নামতাম। এখন শুটিং ও পরীক্ষা সামলাই।

ফুচকা আমিও খাই

যেদিন দুপুর পর্যন্ত থাকি, ক্যাম্পাসের এক দোকানের এক প্লেট ফুচকা মেরে দিই। ফুচকা আমার ফেভারিট।

Sabila Nur2

ভালো লাগে না

প্রায় দিনই সেলফির আবদার থাকে। প্রতিদিন সকালে কাকের বাসা হয়ে ক্যাম্পাসে যাই। তা-ও সেলফি তুলতে হয়। ওদের কি কোনো কাজ নেই, সাতসকালে সেলফি তুলে বেড়ায়! ব্যাপারটা মোটেও ভালো লাগে না। তবে আমি কাউকে না বলতে পারি না।Sabila Nur4

প্রিয় বন্ধু

একটা গোপন ব্যাপার বলি-আমার যেকোনো সমস্যায় আরিজা ভরসা। দুজনে গোপনে সলাপরামর্শ চলে। সিরিয়াসলি বন্ধুর জন্য সমাধান বাতলে দেয় আরিজা। গম্ভীর কণ্ঠে ফোনের এপাশে আমি শুনি আর হ্যাঁ হ্যাঁ করি। তবে সেটা পরে আর প্রয়োগ করতে পারি না বা নানা কারণে করা হয় না। কদিন পরে আরিজা জিজ্ঞেস করলে আমার তো কোনো উত্তর থাকে না। রেগে কথা বলা বন্ধ করে দেয় ও। বরাবরের মতো কদিন পর আবার ঠিক হয়ে যায়।