বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুপারমুনের জানা-অজানা


গত ১১ আগস্ট, ২০১৪  ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল চাঁদ। রাতের আকাশে জেগে ছিল বিশাল এক চাঁদ বা সুপারমুন। স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে সুপারমুনের সময় চাঁদকে ১৪ শতাংশ বড় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখায়। এই সুপারমুন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা।

সুপারমুন কি?
সুপারমুনের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে— ‘পেরিগি মুন’। পেরিগি অর্থ হচ্ছে ‘পৃথিবীর নিকটতম’। চাঁদ যখন পূর্ণ পূর্ণিমায় থাকে এবং বার্ষিক প্রদক্ষিণের সময় পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে তখন একে সুপারমুন বলা হয়। পৃথিবীর কাছাকাছি আসায় এই চাঁদকে স্বাভাবিক পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় বড় ও বেশি উজ্জ্বল দেখায়।

কখন হয়?
এর আগে এ বছরের ১২ জুলাই সুপারমুন দেখা গিয়েছিল। এরপর আবার ৯ সেপ্টেম্বর সুপারমুনের দেখা মিলতে পারে। এক বছরে তিনবার সুপারমুনের দেখা পাওয়ার ঘটনা বিরল। ২০৩৪ সালের আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আর নেই। তবে সাধারণত প্রতি ১৩ মাস পরপর সুপারমুনের দেখা পাওয়া যায়।

আগামী সুপারমুন কবে?
৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১৪ নভেম্বর ২০১৬ জানুয়ারি ২, ২০১৮।

এবারের সুপারমুনের বিশেষত্ব
রোববারের সুপারমুন বিশেষ ছিল এ কারণে যে এটি পৃথিবীর দুই লাখ ২১ হাজার ৭৬৫ মাইলের মধ্যে চলে এসেছিল। এর পাশাপাশি এ সময় ‘পারসেইড’ উল্কাবৃষ্টির বিষয়টিও লক্ষ করা গেছে। প্রতি বছর আগস্ট মাসে এই উল্কাবৃষ্টি হয়। সুপারমুনের সঙ্গে উল্কাবৃষ্টির একটি অপার্থিব ঘটনা ঘটেছে এবার।

সুপারমুনের ফলে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে?
গবেষকেরা বলছেন, এ আশঙ্কা কম। তবে ডেইলি এক্সপ্রেসের এক খবরে দাবি করা হয়েছে ‘বিরল এই সুপারমুনের ঘটনা পৃথিবীর ধ্বংস ডেকে আনতে পারে।’

-প্রথম আলো অবলম্বনে