বিনোদন

মানহীন চলচ্চিত্র আটকে দিল সেন্সরবোর্ড


দেশীয় চলচ্চিত্র উন্নয়নে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বেশ কঠোর হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ১০টি ছবি প্রর্দশনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ। ছবিগুলো হলো- এফ জাহাঙ্গীর পরিচালিত ‘অশান্ত মেয়ে’, আবুল হোসেন খোকন পরিচালিত ‘প্রেম যে করে সে জানে’, আকাশ আচার্য পরিচালিত ‘আকমল আলীর সংসার’, এ মুকুল নেত্রবাদী পরিচালিত ‘শাদি’, কালাম কায়সার পরিচালিত ‘ভালোবাসতে মন লাগে’, জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘লীলামন্থন’, রকিবুল আলম রকিব পরিচালিত ‘নগর মাস্তান’, নজরুল ইসলাম খান পরিচালিত ‘রানা প্লাজা’, আজাদুর রহমান বাবু পরিচালিত ‘বাংলার ফাটাকেষ্ট’ এবং আহসান উল্লাহ মনি পরিচালিত ‘বাল্যবিবাহ নিষেধ’। কি কারণে এই ছবিগুলো প্রদর্শনের অযোগ্য করা হয়েছে জানতে চাইলে সেন্সর বোর্ডের সচিব মো. নিজামুল কবির বলেন, ‘ছবিগুলোর গল্পে গোজামিলে ভরা, অশ্লীলতা, স্পর্শকাতর কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যা খুবই দৃষ্টিকটু। আমরা অনেক যাচাই-বাছাই করেই ছবির সেন্সর ছাড়পত্র দিচ্ছি। আমরা চাই দেশে ভালো ভালো গল্পের সিনেমা নির্মাণ হোক।’ অযোগ্য কয়েকটি ছবির জন্য ছবি সংশ্লিষ্ট প্রযোজকরা পুনরায় তথ্য মন্ত্রণালয়ে আপিল করেন। আপিল বোর্ড সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্তেই বহাল রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’ এবং মঈন বিশ্বাস পরিচালিত ‘পাগল তোর জন্য রে’ ছবি দুটির সেন্সর সনদপত্র স্থগিত করা হয়েছে। ছবি দুটির বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো সেন্সর বোর্ড কর্তৃক কর্তন করা দৃশ্যজুড়ে দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রতিযোগিতায় জমা দেওয়া হয়েছিল।

সম্প্রতি ঢাকার বাইরের প্রেক্ষাগৃহে অশ্লীল দৃশ্য সংযোজন করে প্রদর্শনের অভিযোগে অপূর্ব রানা পরিচালিত ‘খুনি বিল্লাহ’ ও শাহিন সুমন পরিচালিত ‘নগদ’ ছবি দুটির সেন্সর সনদপত্র সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রেক্ষাগৃহে আগের তুলনায় দর্শক বেড়েছিল। কিন্তু ডিজিটাল চলচ্চিত্রের নামে দর্শকের সঙ্গে প্রতারণা করছেন কিছু অপেশাদারী প্রযোজক ও পরিচালক। দর্শক প্রতারিত হয়ে হলবিমুখ হয়ে যাচ্ছেন। যা প্রভাব পড়েছে বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্র ব্যবসায়। এদিকে জানা গেছে, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘ইটিশ পিটিশ প্রেম’ ছবির নাম নিয়েও সেন্সর বোর্ড আপত্তি তুলেছে।

চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিচালকরা যদি এখন সতর্ক না হয়ে ভালো ভালো গল্পের ছবি এবং নাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে নজর না দেন তাহলে অচিরেই চলচ্চিত্র শিল্প ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে- এমনটাই ভাবছেন সিনেবোদ্ধারা।